সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন ও সাংবাদিক মহলের প্রতিক্রিয়া
মু.হারিসুর রহমান (কুমিল্লা)
পেশাগত দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানির জন্য ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম
১ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনে সাংবাদিকদের প্রতি হুমকি, ভয়ভীতি বা হয়রানিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়ার গুরুত্বপূর্ণ ধারাঃ
ধারা ৫ : পেশাগত দায়িত্বে হুমকি বা হয়রানি
শাস্তি: এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
ধারা ৬ : সংবাদ সংগ্রহে বাধা
অনুমতি ছাড়া সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে বা তথ্য গোপন করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
ধারা ৭ : সাংবাদিকের সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত করা
ক্যামেরা, রেকর্ডার, নোটবুকসহ পেশাগত সরঞ্জাম নষ্ট বা বাজেয়াপ্ত করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
ধারা ৮ : প্রতিশোধমূলক মামলা দায়ের
কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বা প্রতিশোধমূলক মামলা দায়ের করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যঃ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন,
> “আমরা চাই সাংবাদিকরা ভয়ভীতি ছাড়াই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন। এই আইন কার্যকর হলে পেশাগত স্বাধীনতা আরও সুসংহত হবে।”
সাংবাদিক মহলের প্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তারা আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, আইন যতই ভালো হোক না কেন, কার্যকর বাস্তবায়ন ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।