মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ স্ট্যাফ রিপোর্টার :-
লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের মৃত হাজী শামসুল হক (শামু) সাহেবের বড় ছেলে ইটালি প্রবাসী আজিজুল হক খোকন (৪২) ও ছোট ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী জহিরুল হক রিপন (৪০) এর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪শে ডিসেম্বর) রাতে আনুমানিক ১ঃ৪০ মিনিটে ১০/১২ জনের সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র ছেনি, কিরিচ,সাবল,ছুরি ইত্যাদি নিয়ে প্রথমে বাড়ির বাউন্ডারির গেইটের তালা ভেঙে ঘরে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ঘরে মূল দরজা ভেঙে ৫ জনের ডাকাত দল ঢুকে প্রবাসীদের ভগ্নীপতি আবদুল্লাহ আল মাকসুদকে ছুরি দিয়ে হাতে আঘাত করে বেঁধে পেলে। প্রবাসীদের বৃদ্ধ মা কে মারধর করে আলমারি, সুকেসের চাবি নিয়ে ১০/১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মহিলা ও শিশু কন্যাদের গলায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুলও নিয়ে যায়। ডাকাত দল ঘরে হানা দেওয়ার সময় প্রবাসীদের মেজ বোন কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে গোসলঘরে পিছনে গিয়ে ছোট ভগ্নীপতি অহিদুর রহমান মাসুমকে মোবাইলে কল দিয়ে বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে বলে জানান।ভগ্নীপতি মাসুম তাৎক্ষণিকভাবে স্থানী লোকজন ও মসজিদের ইমামকে কল দিয়ে না পেয়ে লালমাই থানা পুলিশকে জানালে পরক্ষনেই সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল একজন কথা বলে সেনাবাহিনীর একটি টিম ও লালমাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই ডাকাতদল একটি মাইক্রোবাস দিয়ে পালিয়ে যায় বলে সূত্রে জানা যায়।
হাজী শামসুল হক সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালেও একবার ডাকাতি হয়েছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানান। দুই ভাই স্বপরিবারে প্রবাসে বসবাস করছেন। তাঁদের মা,মেজ বোন ও ভগ্নীপতির পরিবার নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
প্রবাসী ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ডাকাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লালমাই থানার সাব- ইন্সপেক্টর (এসআই) মোঃ জাকির হোসেন সহ পুলিশের একটি টিম কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সেই সাথে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে উনাদেরও একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বের ডাকাত দল পালিয়ে যায়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকাতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।