বরুড়া উপজেলা প্রশাসন কতৃক তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মোঃ ইকরামুল হক, স্টাফ রিপোর্টার,বরুড়া,

কুমিল্লা জেলার বরুড়ায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বরুড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু-এমং মারমা মং’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বরুড়া উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধান ডাঃ সাজেদুর রহমান, বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সঞ্জয় চন্দ্র সরকার , উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার মোঃ বোরহান উদ্দিন ভুঁইয়া, সহকারী যুবউন্নয়ন অফিসার মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, বরুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ আহমদ প্রমুখ । এদিন প্রশিক্ষক বৃন্দরা বলেন, তামাক ব্যবহার বা ধূমপান অত্যান্ত ক্ষতিকারক, যা কার্যত মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দেহের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপানে বিষপান, সবারই জানা, তবু বহু মানুষ ধূমপান করে। বাইরে থেকে দেখলে যদিও বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ধূমপানে নিঃশেষ হতে পারে প্রতিটি অঙ্গ।ধূমপানের ক্ষতিকর কিছু দিক: তামাক সেবন কিংবা ধূমপান মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বিশ্বজুড়ে বহু মৃত্যু ও রোগের কারণ হলো তামাক, যা চাইলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি মানুষকে বয়সের আগেই মৃত্যুর দিকে টেনে নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ সরাসরি তামাক সেবনে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশের বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য বিশেষ করে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, সাদা পাতায় আসক্ত এবং তামাকের কারণে বছরে প্রাণহানি ঘটে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষকে এই আসক্তি থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করে।
তামাকের ব্যবহার: তামাক অত্যন্ত নেশাদায়ক। দুইভাবে মানুষ তামাক ব্যবহার করে। যেমন-ধোঁয়াহীন তামাক যা জর্দা, গুল, সাদা পাতা, নাকে নস্যি ইত্যাদি। আরেকটি হচ্ছে ধোঁয়াযুক্ত তামাক যা সিগারেট, বিড়ি, চুরোট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ইদানিং আবার ই সিগারেট ব্যবহৃত হচ্ছে। সবই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, ধূমপানের ফলে ধীরে ধীরে আয়ু কমতে থাকে।