ভুয়া ডাক্তার ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
(লালমাই প্রতিনিধি)
কুমিল্লা লালমাই উপজেলা আটিটি বাজার ভুয়া ডাক্তার শামীম আহমেদ (সুমন) ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
(০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা।
মোবাইল কোর্টে পরিচালনা ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।
জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দৌশারিচৌ গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে শামীম আহমেদ (সুমন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আটিটি বাজারে ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে আসছে। ইতোপূর্বে সে চট্টগ্রাম শহরে একটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন।
এছাড়া ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণামূলক সেবা প্রদান করে ওষুধ ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অপর ১ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং লালমাই থানা পুলিশের একটি টিম।
বাজারে ভুয়া ডাক্তার ও অনুমোদনহীন ফার্মেসির দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছেছে।মোবাইল কোর্টের অভিযান খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় মেডিক্যাল দোকানদারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ডাক্তারই কোনো স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নন। তবুও তারা রোগী দেখছেন এবং ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন।
এই ছাড়া বাজারের বহু ফার্মেসিরই নেই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় একব্যক্তি বলেন,
“যখন মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হয়, তখন খবর পেয়ে আটিটি বাজারের সব ওষুধ দোকানদার তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। যদি তারা বৈধভাবে ব্যবসা করতো, তাহলে পালাত না। আপনি যাচাই করলেই দেখবেন কোনো দোকানেই সঠিক কাগজপত্র নেই।”
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আটিটি বাজারে বর্তমানে মোট ১৪টি মেডিসিন দোকান রয়েছে। এর মধ্যে একটিও সম্পূর্ণ বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মোবাইল কোর্টের পরিচালনা শেষ হিমাদ্রি খীসা জানান জনস্বার্থে লালমাই উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।