“স্টার লাইন” কোম্পানিতে ১৩ বছরের পুরনো ষ্টাফকে অন্যায়ভাবে চাকুরি চ্যুতি।
ফারুক-ফেনীঃ
আন্তর্জাতিক শ্রমিক আইন তো দূরের কথা, দেশীয় আইনের ও তোয়াক্কা না করা কোম্পানিটির নাম হলো ফেনীর “স্টার লাইন” কোম্পানি। কথায় কথায় চাকরি দেওয়া এবং কথায় কথায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা তাদের একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মানুষ অনেক আশা ভরসা নিয়ে এই কোম্পানিতে কাজ করতে আসে, কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তারা হতাশ হয়ে ফেরত চলে যায়। কারণ তারা (স্টার লাইন) কোন প্রকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনা, মানুষকে অতিরিক্ত ও অমানবিক পরিশ্রম করায় সাপ্তাহিক ছুটিরও কোনো বালাই নেই। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তারা সেই সরকারেরই আজ্ঞাবহ হয়ে যায় তাদের অনিয়ম-দূর্নীতিগুলো জারি রাখার জন্য। আর বিগত পতিত সরকারের আমলে এভাবে অতিবাহিত হয়েছে এখনো একই ধারা বলবৎ রয়েছে। শ্রম আইনে প্রত্যেকটি কর্মচারী দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করবে এর অতিরিক্ত সময় কাজ করলে তাকে ওভারটাইম দিতে হয় (১.৫% অথবা ২.০০% হিসাবে)। এটাই নিয়ম কিন্তু স্টারলাইন নামক এই কোম্পানিটি এই নিয়ম মানছে না। এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কোম্পানির তথ্য কেন্দ্রে সুদীর্ঘ ১৩ টি বছর ধরে কাজ করতো মোঃ নুরুন্নবী নামের এক ব্যক্তি। দৈনিক ১২ ঘন্টা ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছিল। বিগত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে পতিত সরকারের পতনের পর যে ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছিল সেই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে এই স্টার লাইন কোম্পানিকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল এই কর্মচারীটি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সময়ের পালাক্রমে আজ সেই কোম্পানিই তাকে চাকরিচ্যুত করলো পতিত সরকারের লোকজনকে ওই সকল পদে পুনর্বহাল করার জন্য। অতিতেও অনেক লোক এভাবে চাকরি হারায়। হাবিব- ক্যাশ, ফারুক- ফ্রুট ক্যাশ, জানে আলম সহ আরো অনেকেই তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিদায় নেয়। স্টার লাইন স্টাপ এবং পতিত সরকারের দোসর জিএম বেলালের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমন্বয়ক কে মারধর করেছিল যাহার সংবাদ পত্র-পত্রিকা সহ অনলাইন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এরকম অনেক পতিত সরকারের দোসরদেরকে তারা তাদের কোম্পানিতে বিভিন্ন কাউন্টারে চাকরি দিয়েছে। যারা একসময় পতিতো সরকারের দোসর হয়ে মানুষের প্রতি জুলুম করত, তারাই এখন এই কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে চাকরি করে। এটা হচ্ছে পতিত সরকারকে আবাদ করার অন্যতম কৌশল। জানা যায়, স্টার লাইন গ্রুপের ভিসি জাফর উদ্দিনের ভাই সাবেক মেয়র আলাউদ্দিন, ৫ আগস্টের পর, কিভাবে পতিত সরকারের লোকজনকে চাকরি দেওয়া যায় এই ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সাথে মিটিং করে । সে হিসেবে তাদের লোকজনকে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম এখানে উল্লেখ করা হলো ১/ মিজান- এডমিন, ২/ মানিক- এডমিন, ৩/ কোমল বাবু- গ্রুপ এডমিন, ৪/ বিপুল শর্মা- মামলার আসামি, ৫/ কিরণ হাজারী, ৬/ আহসান, ৭/মিজানুর রহমান, ৮/দেলোয়ার- ফোরম্যান, ৯/নিজাম- ফোরম্যান, ১০/সোহাগ ও আশরাফ সহ আরো অনেকেই চাকরিরত আছেন।