হত্যার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার-
সেনাবাহিনী
(নিজস্ব প্রতিবেদক) রাজু আহমেদ মজুমদার
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসাকে নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারান মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ী। এ হত্যার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রসহ এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনীর আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পের একটি টহলদল। জব্দ করা হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম তারেক (২২)। তার বিস্তারিক পরিচয় জানা যায়নি। সেনা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ডে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পের একটি টহলদল ঘটনাস্থলের আশপাশে টহল শুরু করে। সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন এলাকায় এক সন্দেহভাজন তরুণকে ঘুরাঘুরি করতে দেখে তারা। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনীর টহল দল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি অস্ত্রসহ ভিডিও ক্লিপ দেখতে পান তারা। এরপর তারেক নামে ওই তরুণ স্বীকার করে, ঘটনার সময় তিনি অস্ত্র বহন করছিল।
তারেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মিটফোর্ড কলোনির ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি গ্যারেজ থেকে জব্দ করা হয় দুটি ৭.৬২ এমএম নগেট অস্ত্র, একটি ৭.৬২ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তারেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং সোহাগ হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে মো. সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করে। নিহতের বন্ধু মামুন বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে মঈন নিয়মিত চাঁদা দাবি করছিল সোহাগের কাছে। টাকা না দেওয়ায় কয়েকবার হুমকি দিয়েছিল। সন্ধ্যায় একা পেয়ে মঈনসহ আরও কয়েকজন মিলে সোহাগকে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’