শতবছরের ঐতিহ্যের ধারক,বিদ্যাপীঠ
বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়
মু.আহসান উল্লাহ (কুমিল্লা)
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
লালমাই উপজেলার কৃতি সন্তান দেশ বরেণ্য, সদ্য সাবেক কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, জনাব- মুু. শহিদুল ইসলাম মহোদয় এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র ও বর্তমান সভাপতি। বর্তমান উনার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। একটা সময় বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষ এক নামে চিনতো এই বিদ্যালয়কে। পড়াশোনা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় এই বিদ্যালয়ের নাম থাকতো সবার উপরে। কিন্তু বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা সমস্যায় জর্জরিত এই বিদ্যালয়টি।
গত কিছুদিন আগে ২০২৫ ইং সালের এসএসসি ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল যথেষ্ট অসন্তোষ জনক। আর এই ফলাফলকে প্রাক্তন শিক্ষার্থী কেউই মেনে নিতে পারছে না। কারন আলাদা একটা আবেগের জায়গা এই বিদ্যালয়টি। সুতরাং, এই আবেগ এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে এটা কারো কাম্য নয়।
বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য অনেকেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষককে দায়ী করছেন। আবার কেউ কেউ শিক্ষকদের কোয়ালিটি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। আমি বলবো যারা স্কুল জীবনে শিক্ষকদের সান্নিধ্যে ছিলেন না, ঠিক তারাই আজকে শিক্ষকদের কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে ছাত্ররা বাইরে ঘুরাফেরা করা, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে পথে-ঘাটে, হাঁট-বাজারে বাজে আড্ডায় লিপ্ত হওয়া ছেলেটার প্রতি এলাকার কোনো গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে দায়িত্ব নিতে দেখিনা।
একটা স্কুল শুধু হেডমাস্টার চালায় না। এখানে সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে। আর লেখাপড়াটা হলো ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এ তিনের সমন্বয়।
রেজাল্ট খারাপ, মাস্টার খারাপ, মাস্টারের কোয়ালিটি নাই। এসব সমালোচনা প্রতি বছর এসএসসির রেজাল্টের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ১ সপ্তাহ পর্যন্ত শুধু ফেইসবুকেই। এরপর যেই লাউ, সেই কদু।
সন্মানিত সভাপতি সু দৃষ্টি কামনা করছি! সবাইকে সমন্বয় করে দিক নির্দেশনা দিয়ে বিদ্যালয়টির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হউক।