সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালে আমার আবেদনঃ
তারিখঃ১৮।০৩।২০১৮ খ্রি,
বরাবর,
প্রধান নির্বাচন কমিশনার,
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, আগারগাঁও,
শেরে বাংলা নগর,ঢাকা,বাংলাদেশ।
বিষয়ঃ সাবেক কুমিল্লা ৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,আমরা নিম্ন-স্বাক্ষরকারীগণ সাবেক কুমিল্লা ৯ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। সাবেক লাকসামের ০৪ টি এবং সাবেক কোতোয়ালি থানার ছয়টি সর্বমোট দশটি ইউনিয়ন নিয়ে কুমিল্লা ৯ নির্বাচনী এলাকা গঠন করা হয়। উক্ত নির্বাচনী এলাকা নিয়ে, ১৯৮৮,১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাট পুল কালভার্ট,বিদু্ৎ,স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। এলাকাটতে এত বেশী উন্নয়ন হয়েছিল যে জনগণ গ্রামে থেকেও পৌর সভার সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছিল। যে কারণে উক্ত নির্বাচনী এলাকা নিয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা নামে একটি নতুন উপজেলা গঠন করা হয়(২০০৬)।জনগণ খুঁজে পায় তাদের নতুন ঠিকানা। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয় এলাকার জনগণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনগণ সেই সুফল বেশিদিন ভোগ করতে পারেনি। শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সাজানো গুছানো একটি নির্বাচনী এলাকাকে ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক কালে, কুমিল্লায় একটি আসন কমাতে গিয়ে, কুমিল্লা ৯নির্বাচনী এলাকা কে ভেঙ্গে তিনটি টুকরো করা হয়.।২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে আবার পরিবর্তন আসে। যা কিনা এলাকার জনগণের সাথে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ঠুর রসিকতা। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের নয়টি ওয়ার্ড (১৯-২৭) এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয় দেশের সর্ববৃহৎ কুমিল্লা দশ নির্বাচনী এলাকা। যার দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার প্রস্থ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। আসনটি ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ১০ টি উপজেলাকে স্পর্শ করেছে।এই বিশাল এলাকা নিয়ে নির্বাচনী এলাকা গঠন করায় জনগণ ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকায় বেড়ে যায় বেকারত্ব। শিক্ষা, স্বাস্থ্য যাতায়াত সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়ে যাই। পত্র-পত্রিকের মাধ্যমে জানতে পারলাম ভোটার, আয়তন, জনসংখ্যা ও অখন্ডতা ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমান কমিশন সীমানা পুননির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। আমাদের প্রস্তাবিত নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা, সদর দক্ষিণ এবং প্রস্তাবিত লালমাই উপজেলার (লাকসামের বাকই ইউনিয়ন বাদে) ২,৮৭৯০৪ জন, সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড(১৯-২৭) এর ভোটার সংখ্যা ৬০৬৩৯ জন.প্রস্তাবিত লালমাই উপজেলার লাকসামের বাকই ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ১২৮৫৪ জন। সর্বমোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৭ জন। ভোটার, জনসংখ্যা আয়তন যাতায়াত ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে,আমাদেরকে এদিক-ওদিক ছিন্ন বিচ্ছিন্ন না করে, অতীতের ক্ষতির দিকটা বিবেচনা করে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নয়টি ওয়ার্ড,, সদর দক্ষিণ এবং প্রস্তাবিত লালমাই উপজেলা নিয়ে একটি স্বতন্ত্র নির্বাচনী এলাকা ঘোষণা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
অতএব, দয়া করে সাবেক কুমিল্লা ৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহাল করে বাধিত করবেন।
অনুলিপি প্রেরণঃ
১. আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, কুমিল্লা.
২.জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আদালত রোড,কুমিল্লা.
তারিখঃ ১৮। ০৩। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ।
বিনীত,
এলাকাবাসীর পক্ষে ঃ
মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদার গং।