লাকসাম পৌর যুবদলের আহবায়ক গ্রেফতার এবং বহিস্কার প্রসঙ্গে মূল রহস্য।
এম এ কাদের অপুঃ
লাকসাম পৌরসভা যুবদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক শফি উল্লাহ কে গত ২৬/০৭/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের সময় কুমিল্লা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয় বিগত সরকারের আমলে। ২০১৭ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৬/০৭/২০২৫ তারিখ শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের সময় ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারীতে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলা নং ১৩। এই মামলাইয় জিআর ১৪২ ধারা-১৭০/১৭১/৪৪৮/৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ প্যানাল কোড ২০১৭ এর এজহার ভুক্ত ওয়ারেন্টের আসামী হওয়ায় তাকে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
রাত ১২.৪৫ মিনিটে ২৭ তারিখ। আর রাত ১২.৪৫ মিনিটে লাকসাম উপজেলার নরপাটি ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে সিএনজি চালক আবদুর রহিম লাকসাম থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। এজহারের তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এসআই শাহাদাত।
ভোর অনুমান ৫ ঘটিকায় ওয়ারেন্ট থাকার কারনে ডিবি হাতে গ্রেফতার হওয়া লাকসাম পৌরসভা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক শফি উল্লাহ কে গ্রেফতার করার পর নতুন করে লাকসাম থানায় সিএনজি চালক আবদুর রহিম বাদী হয়ে এজহার দায়ের করেন।
এজহার দায়েরের অনুমান ৩ ঘন্টার মধ্যেই লাকসাম থানার এসআই শাহাদাত অভিযোগের সত্যতা পান বলে প্রাথমিক তদন্তে জানান এবং তদন্ত অব্যাহত আছে বলে শফি উল্লাহ কে আদালতে প্রেরণ করেন।
একই বাদী, সিএনজি চালক আবদুর রহিম গত ৬ মার্চ লাকসাম থানা ও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাকসাম থানা ও নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ভুমিকাই রাখেন নাই।
অভিযোগে আসামী করা হয় ১/ সফি উল্লাহ ২/ শাহিন ও ৩/ কবির নামক এই ৩জনকে। বিবাদী আবদুর রহিম থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রায় ৫ মাস পর্যন্ত আইনি ভাবে কোনো সহযোগিতা না পেলেও, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর বিবাদী আবদুর রহিম পূনরায় এজহার দায়ের করেন যখন, তখন কিন্তু আসামী সফিউল্লাহ ওয়ারেন্টের আসামী হিসেবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতেই ছিলো।
খোলা মাঠে, সচরাচর অপর দুই আসামী শাকিল ও কবির এখনো চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়াতেই বুঝা যাচ্ছে সফি উল্লাহ কে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই হেয়পতিপন্ন করার জন্য মামলার বাদী ও লাকসাম থানা পুলিশ একত্রিত হয়ে এই ঘৃণিত কাজটি করেছেন।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই শাহাদাত জানান, মামলা রাত ১২.৪৫ মিনিটে এজহার হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব আসে আমার উপর। পরে আমি তাকে আদালতে প্রেরণ করি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে এসআই শাহাদাত বলেন, আমি সমস্ত কিছু অফিসার ইনচার্জকে বুঝিয়ে দিয়ে পরে থানা থেকে চলে আসছি। এখন আর আমি লাকসাম থানায় নাই তবে, আপনার এই প্রশ্নের জবাব আমি প্রয়োজনে আদালতে দিবো। এখন কোনো জবাব দিতে আমি বাধ্য নই।
এইদিকে এই মামলাকে কেন্দ্র করেই দলীয় ভাবে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।